সাবেক কাউন্সিলর মিল্টনের পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে দরিদ্রদের ওএমএস কার্ড

করোনা ভাইরাসের তান্ডবে প্রায় দেড় হাজারের অধিক প্রাণ হারিয়েছ বাংলাদেশ। প্রতিনিয়ত মানুষকে জীবনের তাগিদে লড়াই করতে হচ্ছে জীবন -মৃত্যুর সাথে। খেটে-খাওয়া মানুষগুলো পরেছে চরম বিপদে। যার ফলে সরকার লক-ডাউন তুলে দিতে বাধ্য হয়। মানুষের জীবন রক্ষায় লকডাউন করা হলেও খাদ্য সংকটে হুমকির মুখে পরে মানুষের প্রাণ। তাই লকডাউন তুলে নেয় সরকার। এ দিকে সরকার জরুরী ভিত্তিতে সারাদেশে অসহায় মানুষদের জন্য খাদ্য সহায়তা ও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস) কার্ড প্রদান করে। বিশেষ এ কার্ডের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি চাউল বিতরন করে আসছে সরকার। সারা বাংলাদেশেই এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সরকারের এ সাফল্যময় অর্জনকে কিছু অসাধু মানুষ ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করে বির্তক করেছে। এ কাজের তদারকিতে জনপ্রতিনিধিরা নেতৃত্ব দিলেও কিছু কিছু মানুষ সত্যিকার অর্থে জনপ্রতিনিধি না হয়ে, নিজ এবং পরিবারের উন্নয়নে কাজ করে ব্যাপক বির্তক সৃষ্টি করেছেন। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনেক অপরাধীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রতিষ্ঠানিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ দিকে রাজধানীতেই খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস) কার্ড বিতরনে সদ্য এক সাবেক জনপ্রতিনিধি ও ক্ষমতাসীন দলের এক সাংসের আস্থাবাজন নেতার রিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
খিলগাঁও এলাকার ১নং ওয়ার্ড, একটি মডেল ওয়ার্ড হিসেবে পরিচিত হলেও এখানেই ঘটেছে অসহায় মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস) তারিকায় সদ্য সাবেক কাউন্সিলর ওয়াহিদুল হাসান মিল্টন এর পরিবারের একাধিক সদস্য অন্তর্ভুক্ত। দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করা, দরিদ্রদের অগ্রাধিকার না দিয়ে, স্বজনপ্রতির অভিযোগ, আর এ বিষযটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে মুহূর্তে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়।
বিষয়টিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে গরীবের হক মেরে খাওয়ায় শাস্তি ও দল থেকে সাংগঠনিকভাবে আজিবনের জন্য বহিস্কার দাবি করেন অনেকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাইনুল হক নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন…
———– সবকিছু তাদেরই দরকার? ———–
করোনা সংকটে সরকারের উদ্যেগে যে ও,এম,এস কার্ড (রেশন কার্ড) গরীবদের জন্য তৈরী করার উদ্যেগ গ্রহন করা হয়েছিলো ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ওয়াহিদুল হাসান মিল্টন ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারই আপন ছোট ভাই খিলগাঁও থানা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তৌহিদুল হাসান টফি,ভাতিজা আদনান হাসিব অর্নব,ভাবী হোসনে আরা সহ বেশ কয়েকজন পরিবারের সদস্যদের নামে সেই কার্ড বরাদ্দ দিয়েছেন।শুধু তাই নয় তার নিজের লোক হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন সচ্ছল মানুষের নামেও খুবই নাক্কারজনক ভাবে উক্ত ও,এম,এস কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এভাবে প্রকৃত গরিব মানুষদের বঞ্চিত করে নিজেদের পরিবারের সদস্য সহ নিজ বলয়ের সচ্ছল মানুষদেরকে উক্ত কার্ড বরাদ্দ দেওয়ায় এই ওয়ার্ডের জনগন তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন সব যদি তাদেরই লাগে তাহলে গরীব মানুষগুলোকে তো না খেয়ে মরতে হবে।